দখিনের খবর ডেস্ক ॥ চরফ্যাসনে উপবৃত্তির তালিকাভুক্তি এবং ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দুলারহাট থানার পশ্চিম চরনুরুল আমিন লতিফিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৭০০ টাকা করে আদায় করেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ওই মাদ্রাসায় ইবতেদায়ি থেকে আলিম পর্যন্ত ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে ইবতেদায়ি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০০ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী উপবৃত্তির সুবিধার আওতায় রয়েছে। করোনাকালে মাদ্রাসার শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও চলে অফিসিয়াল কার্যক্রম। অনলাইনে উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম চলাকালীন ব্যাংক হিসাব খোলা ও তালিকাভুক্তির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেন অধ্যক্ষ।
সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আরও অভিযোগ করেন, উপবৃত্তির তালিকায় অনলাইনে নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ৪০০ টাকা এবং ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য ৩০০ টাকা নিয়েছেন অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইকবাল হোসেন। উপবৃত্তির জন্য বিধিবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কতিপয় অভিভাবকের কথা কাটাকাটি হয়। অভিভাবক শামসউদ্দিন বলেন, তার মেয়ে ওই মাদ্রাসায় পড়ে। উপবৃত্তিতে তালিকাভুক্ত করার জন্য ৭০০ টাকা দাবি করেন অধ্যক্ষ। তার দাবিতে ৪০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩০০ টাকা না দিলে মেয়েকে উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ।
অভিভাবক হারুন মিয়া অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে উপবৃত্তির তালিকাভুক্তি ও ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান তার কাছে ৭০০ টাকা দাবি করেন। অধ্যক্ষের দাবিকৃত ৭০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা পরিশোধ করে মেয়েকে উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এখন উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে রেজিস্টেশন করতে হচ্ছে। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৬০-৭০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত না হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের বিবাদ হয়। বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এমন অভিযোগ তুলেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply